বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা থেকে দুই গ্রামের কৃষকদের রক্ষা ও জমি চাষাবাদের জন্য কাউনিয়া খালের বাঁধ কাটলেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক।
এতে ওই ইউনিয়নের দুই গ্রামের ১০ হাজার একর ফসলী জমি জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেল। বাঁধ কাটায় কৃষকদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া ও গুরুদল গ্রামের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত প্রবহমান কাউনিয়া খান। ওই খালটিতে গত ১০ বছর ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী নান্নু মোল্লা অবৈধভাবে ৫টি স্থানে বাঁধ নির্মাণ ও একটি কালভার্টের মুখে জাল দিয়ে আটকে মাছ চাষ করে আসছেন। এতে ওই খালের স্বাভাবিক পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যায়।
পানি নিস্কাশন বন্ধ থাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হলেই ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। জলাবদ্ধতার কারনে গত ১৫ দিন ধরে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার একর ফসলী জমির চাষাবাদ বন্ধ থেকে অনাবাদি থাকার আশঙ্কায় দেখা দেয়।
গত মঙ্গলবার ওই এলাকার ভূক্তভোগী কৃষকরা সরকারী খালের বাঁধ অপসারণ করে পানি সরবরাহ সচল করতে এবং জমি চাষাবাদ করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
কৃষকদের ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিমকে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম সরেজমিনে কাউনিয়া খালের বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে ওই বাঁধ কেঁটে কৃষকদের জমি রক্ষার সুপারিশ করেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিকের নেতৃত্বে ভূক্তভোগী শতাধিক কৃষক কাউনিয়া খালের ছয়টি স্থানের বাঁধ কেটে দিয়ে হলদিয়া ও গুরুদল গ্রামের প্রায় ১০ হাজার একর ফসলী জমি জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করে চাষাবাদ করার উপযোগী করার ব্যবস্থা করেন।
বাঁধ কাটায় ওই দুই গ্রামের ফসলী জমি চাষাবাদে আর সমস্যা রইলো না বলে জানান কৃষকরা। ভূক্তভোগী কৃষক শাহআলম, মোবারক হাওলাদারসহ একাধিক কৃষকরা জানায়, কাউনিয়া খালের সকল বাঁধ কেঁটে দেওয়ার জমি চাষাবাদে তাদের আর কোন সমস্যা নেই। বাঁধ কাটায় পানি নেমে যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, ভূক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করে কাউনিয়া খালের বাঁধ কেঁটে দেওয়ার সুপারিশ করি।
ওই সুপারিশের ভিত্তিতে হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শতাধিক কৃষক বাঁধ কেঁটে দিয়েছেন। বাঁধ কেঁটে দেওয়ার জমি চাষাবাদে কৃষকদের আর কোন সমস্যা রইলো না। হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে শতাধিক কৃষক নিয়ে কাউনিয়া খালের ছয়টি বাঁধ কেঁটে জমি চাষাবাদের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।